উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০২৫ ৭:৫৬ এএম

গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে আবারো এ উপত্যকা খালি করার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে সফররত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গাজাকে আবাসন নির্মাণের জন্য দারুণ স্থান হিসেবে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার ‘নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি শান্তি বাহিনী থাকলে ভালো হবে।

গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালানোর পরও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা ইসরাইলকে প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি এবং আমরা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব। খবর আলজাজিরার।

আমরা আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টা করছি। গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের শরীরে কোনো ক্ষত ছিল না, কিন্তু তাদের আত্মা ক্ষতবিক্ষত ছিল।

আমি গাজা উপত্যকা থেকে মুক্তি পাওয়া ১০ জন জিম্মির সাক্ষাৎকার নিয়েছি যারা তাদের বিরুদ্ধে হামাসের নৃশংসতার কথা বলেছেন।আমরা গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু পাশাপাশি বসেন। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ইসরাইলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন।

গাজাকে নরক হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, গাজা অসাধারণ একটি জায়গা। কিন্তু সেখানে কেউ থাকতে পারবে না।

২০০৫ সালে দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এর দুই বছর পর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হামাস। এরপর থেকে সেখানে তাদেরই শাসন চলছিল।

ইসরাইল কেন ২০০৫ সালে গাজা থেকে সেনা ও বসতি সরিয়ে নিয়েছিল সেটিরও সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, ইসরাইল কেন অতীতে গাজা উপত্যকা ছেড়ে দিয়েছে।ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও দুর্দশা থেকে রেহাই দিতে অন্যান্য দেশ গাজা উপত্যকা থেকে তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

অপরদিকে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের সুরে কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের পর গাজা পুনর্নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগবে। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তারা সেটি নিয়ে কাজ করছেন

সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্পকে ইসরায়েল ও ইহুদিদের একজন অসাধারণ বন্ধু অভিহিত করেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করবেন। তিনি মনে করেন, এটিই সঠিক কাজ।

পাঠকের মতামত

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...